গোপালগঞ্জে সহিংসতা : সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা, আসামি ৪৭৫

মত ও পথ ডেস্ক

ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বুধবারের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি ৪০০ জন অজ্ঞাতনামা।

এদিকে সহিংসতার ঘটনায় যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি সাজেদুর রহমান।

কিংস পার্টি হিসেবে তকমা পাওয়া নিবন্ধনহীন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জে পূর্বঘোষিত সমাবেশ ছিল বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে। সকালেই ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ইউএনওর গাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ উঠে। দুপুরে গোপালগঞ্জের বিক্ষুব্ধ জনতা এনসিপির সমাবেশস্থলে হামলা চালায়। এরপর সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে হামলা করে তারা। তারপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এক পর্যায়ে এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে খুলনায় নেওয়া হয়।

এ সময় ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সংঘাতের সময় গুলিতে নিহত চারজনের দাফন ও শেষকৃত্য গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, এ ঘটনায় গত রাতে রমজান মুন্সী (৩২) নামে গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

শেয়ার করুন