দেশের চলচ্চিত্রাঙ্গনের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ আজ রবিবার প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৩টায় এ অনুষ্ঠান শুরু হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যৌথভাবে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা (বিএফডিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলচ্চিত্রের ২৫টি শাখায় এবার পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এতে চলচ্চিত্র তারকারা বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ১৫টি গানের সঙ্গে পারফর্ম করে মঞ্চ মাতাবেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। মাসুম বাবুলের কোরিওগ্রাফিতে আমিন খানের সঙ্গে পপি, রিয়াজের সঙ্গে অপু বিশ্বাস, সাইমনের সঙ্গে সিমলা, ইমনের সঙ্গে তমা মির্জা ও জায়েদ খানের সঙ্গে সাহারা জুটি বেঁধে মঞ্চে নাচবেন। এছাড়াও নাচবেন সাদিয়া ইসলাম মৌ।
এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পাবেন ফরিদা আক্তার ববিতা ও আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। ‘আয়নাবাজি’, ‘শঙ্খচিল’, ‘অজ্ঞাতনামা’ ও ‘কৃষ্ণপক্ষ’ এই চারটি সিনেমা বেশিরভাগ পুরস্কার পাচ্ছে।
এবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘অজ্ঞাতনামা’র জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন ফরিদুর রেজা সাগর, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ঘ্রাণ’র জন্য এস. এম. কামরুল আহসান, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মসাথী’র জন্য একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে তিশা (অস্তিত্ব) ও কুসুম শিকদার (শঙ্খচিল), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রের আলী রাজ (পুড়ে যায় মন) ও ফজলুর রহমান বাবু (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রের তানিয়া আহমেদ (কৃষ্ণপক্ষ), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে শহীদুজ্জামান সেলিম (অজ্ঞাতনামা), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি (শঙ্খচিল), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে), ‘অমৃত মেঘের বারি’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়ক ওয়াকিল আহমেদ (দর্পণ বিসর্জন), ‘যদি মন কাঁদে’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন (কৃষ্ণপক্ষ), ‘বিধিরে ও বিধি’ গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে), একই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমন সাহা (মেয়েটি এখন কোথায় যাবে), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার তৌকীর আহমেদ (অজ্ঞাতনামা), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক ইকবাল আহসানুল কবির (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম গুহ (শঙ্খচিল), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামান (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রিপন নাথ (আয়নাবাজি), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা সাত্তার (নিয়তি) ও ফারজানা সান (আয়নাবাজি) এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মানিক (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)।