ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রতিবছরই ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে এত বড় আয়োজন পূর্বাচলে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শনিবার দুপুরে বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশ অপ্রতুল আমাদের জন্য। অনেকের ধারণা, আমরা পূর্বাচলের দিকে যেটা করছি, সেটা এ রকম বাণিজ্য মেলা হবে কি না। সেটা সম্ভবত হবে না। এখানে ৩৬ একরের ওপরে আমাদের জায়গা, তারপরও সংকুলান হয় না। ওখানে জায়গা আরো কম।
তিনি বলেন, এবারের আসরে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো প্রায় ২০০ কোটি টাকা রফতানি আদেশ পেয়েছে। গত বছর ২৩তম আসরে ১৬৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রফতানি আদেশ পেয়েছিল। সে হিসেবে এ বছর রফতানি আদেশ বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকার।
সম্প্রতি চামড়া রফতানি কমেছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি আগাতে চাই, তাহলে আমাদের রফতানি বাড়াতেই হবে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গার্মেন্টসের ওপর নির্ভর না করে আরো অন্যান্য প্রোডাকশনে যাওয়া উচিত। আমাদের কিন্তু সম্প্রতি লেদার এক্সপোর্ট কমে গেছে। যার জন্য কিছু সমস্যাও আছে। আবার কিছু পণ্যের রফতানি বাড়াতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, এবারের মেলায় দর্শনার্থী উপস্থিতি অর্ধকোটি পার হয়েছে। বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। সব বিবেচনাতেই যা খবর, তাতে আমরা দেখেছি যে, এবারের মেলাটা খুব সফল হয়েছে। এটা পরম্পরা। আগে থেকে ভালো হতে হতে এটা বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এস এম রেজওয়ান হোসেন এবং মেলার আয়োজক সংস্থার প্রধান হিসেবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করছে। ২৪তম বাণিজ্য মেলার পর্দা নামলো আজ।