অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভালোবাসার রঙ লেগেছে

সংস্কৃতি ডেস্ক

ছবি : সংগৃহিত

ফুল ফুটছে খোঁপায় খোঁপায়; রঙ ছড়াচ্ছে শাড়ির আঁচল আর পাঞ্জাবিতে। সেই রঙে রঙিন অমর একুশে গ্রন্থমেলা।

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে লাল পোশাকের আধিক্য যেখানে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পুরো গ্রন্থমেলার জুড়েই এমন চিত্র।

হাতে লাল গোলাপ, গায়ে লাল শাড়ি বা লাল জামা। তরুণরা পড়েছেন লাল পাঞ্জাবি বা ফতুয়া। লাল শাড়ি বা জামার সঙ্গে তরুণীদের কপালে লাল টিপ। শুধু তরুণ-তরুণীরা নন, আজ লাল পোশাকে মেলায় আসতে ভুল করেননি বৃদ্ধা-শিশুরাও। আবার কারো কারো পোশাকে ছিল হলুদের ছোঁয়াও। ফাগুনের আগুন এখনও জিইয়ে রেখেছেন তারা। এক কথায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৪তম দিনে মেলার সর্বত্রই রঙের ছড়াছড়ি। ভালোবাসার রঙে রঙিন হয়েছে গ্রন্থমেলা।

আজ বৃহস্পতিবার গ্রন্থমেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি। দল বেঁধে, জুটিবদ্ধ হয়ে গ্রন্থমেলায় প্রবেশ করছেন তরুণ-তরুণী থেকে শিশু ও বয়ষ্করা। টার্গেট করে ঘুরছেন বইয়ের স্টলে স্টলে। পছন্দের বই কিনছেন, কিনে দিচ্ছেন।

ভালোবাসা দিবস বলে অন্য দিনের চেয়ে একে অন্যকে বই কিনে দেয়ার হার আজ একটু বেশিই। ফলে বেচাবিক্রিও হচ্ছে ভালো।

স্টলের বিক্রয়কর্মীরাও জানান, মেলায় আজকে বই বিক্রিতে তারা সন্তুষ্ট। আশা করছেন, এ ধারা আরও কয়েকদিন বজায় থাকবে। বই বিক্রির পরিমাণও বাড়বে।

মেলার বাংলা একাডেমির লিটলম্যাগ চত্বরে কথা হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ আহমেদের সাথে।

তিনি বলেন, বান্ধবীকে নিয়ে গ্রন্থমেলায় এসেছি। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখছি। পছন্দের বই পেলে ওকে উপহার দেব।

মিরপুর শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা চাকরিজীবী হাদিউল ফরহাদ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গ্রন্থমেলায় এসেছেন।

তিনি বলেন, আজকের দিনটি তো স্পেশাল। তাই অফিসে বসকে ম্যানেজ করে পরিবারকে নিয়ে গ্রন্থমেলায় এসেছি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে