এখন পর্যন্ত ১৩৭ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত। আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ২১০টি আসন। বাকি ৯০টি আসন মহাজোটের। আগস্টের মধ্যেই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত।
বিএনপি ও শরিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে এমনটা মাথায় রেখে প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে মনোযোগী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক এমনটাই মনে করেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব। সম্প্রতি সংসদ ভবনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের সভাকক্ষে সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় এমপিদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। এতে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সেভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী মহল মনে করছে বিএনপি গত নির্বাচনের মতো ভুল এবার করবে না। এখন বিএনপি নির্বাচন নিয়ে যেসব বক্তব্য নিচ্ছে এটা তাদের মনের কথা না। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলে তারা ঠিকই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টিও মাথায় রাখছে আওয়ামী লীগ৷ সবদিক ভেবে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য এখন থেকেই মাঠে নেমে গেছে তারা৷ পরিস্থিতি বুঝে নেয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ৷ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যাতে কোনো ঢিলেমি কাজ না করে সে বিষয়েও সতর্ক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ৷
তারই ধারাবাহিকতায় আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে তৃণমূল নেতাদেরও সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের সঙ্গে বর্ধিত সভা করে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আগামীদিনের পরিকল্পনা ভাগাভাগি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রের সৃষ্ট দূরত্ব কমে আসবে বলে মনে করছেন দলের শীর্ষ পর্যায়। সভায় জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা বিচার করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সবদিক ভেবে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য এখন থেকেই মাঠে নেমে গেছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুন এবং ৭ জুলাই উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শেখ হাসিনা৷ এর আগে ২৩ জুন তিনি জেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে শেখ হাসিনার এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ডিসেম্বরের নির্বাচনে তৃণমূল যেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাদের বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে সেটা ধরে নিয়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কথা বলে জানা যায়- প্রধানমন্ত্রী প্রধানত দু’টি উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ তাদের জন্য গণভবন উন্মূক্ত করে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় তরান্বিত করতে তৃণমূলকে চাঙ্গা করা।
যদিও তৃণমূলের সব নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সামনে কথা সুযোগ পায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী যাদের কথা শুনেছেন তাদের বক্তব্য থেকেই তৃণমূলের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করছেন৷ সেই অনুযায়ী নির্দেশনাও দিয়েছেন৷ অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা সবার সঙ্গে আলাদা আলাদা গ্রুপ করে কথা বলে তাদের কথার সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানা গেছে। নেতারা মনে করছেন তাদের এই মতামত নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে৷
প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলকে সরাসরি আগামী নির্বাচন নিয়ে তার এবং দলের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন তৃণমূল এক থাকলে আওয়ামী লীগের বিজয় সুনাশ্চিত। অতীতে তৃণমূলের দ্বন্দ্বের কারণেই প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে দলের প্রার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন এ বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করে গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে, ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করলে নির্বাচনে তার সুফল মিলবে। তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, ‘যাকেই নৌকা প্রতীক দেয়া হবে তার জন্যই সবাইকে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে এটা ধরে নিয়েই তৃণমূলকে এখনই ভোটের জন্য মানুষের দুয়ারে যেতে হবে।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘এখন যারা এমপি আছেন তারা সবাই যে নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন তা নয়। মনোনয়ন হবে এলাকায় জনপ্রিয়তা ও কাজের ভিত্তিতে।’
এই তৃণমূল সম্মেলনে যোগ দিতে আসা একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলে তার বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তারা বলেন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দ্বন্দ্ব বিবাদ ভুলে নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করতে বলেছেন। বলেছেন, এখনই মানুষের কাছে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে। মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতা মত ও পথকে জানান ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে কে ভালো কাজ করেছে, কে খারাপ কাজ করেছে, কার কী রেকর্ড তা আমার কাছে আছে, কার কী অবস্থান তার রিপোর্ট আমার কাছে আছে। ব্যক্তিগত এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো দেখেই আমি প্রার্থী মনোনয়ন দেব।’
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ এগিয়ে রাখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলীয় পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল বিচ্ছিন্ন এবং নানা কারণে বিতর্কিত এমন ব্যক্তিদের এবার মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে নানা মাধ্যমে খোজখবর করে প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়টি দেখভাল করছেন। এখন পর্যন্ত ১৩৭ আসনে প্রার্থী বাছাই করেছে দলটি। দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ২১০টি আসন। বাকি ৯০টি আসন মহাজোটের জন্য রাখা হবে। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৃণমূলে কাজ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয় সূত্র জানায় আগস্টের মধ্যেই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। জোটের প্রার্থীদের আসনও বণ্টন করা হবে তফসিল ঘোষণার আগেই। মনোনয়নবঞ্চিতরা যেন দলের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে না পারে, সে জন্য কেন্দ্র থেকে নানা বিকল্প দেখিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করা হবে এবং সবাইকে দলের মনোনীত প্রার্থীকে পাস করানোর জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করার কথা বলা হবে। ১৩৭টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে দুজন করে প্রার্থী রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে।
দলীয় সুত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় যারা রয়েছেন, পঞ্চগড়-২ আসনে নুরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মো. দবিরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, লালমনিরহাট-১ উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল অথবা মহাজোট থেকে কেউ, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, রংপুর-৪ টিপু মুন্সী, রংপুর-৫ এইচ এন আশিকুর রহমান, গাইবান্ধা-২ মাহাবুব আরা গিনি, গাইবান্ধা-৩ ইউনুচ আলী সরকার। জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আবদুল মান্নান, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৬ ইসরাফিল আলম, রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম, নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ পলক, সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ হাবিবে মিল্লাহ মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব-উল আলম হানিফ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিক, যশোর-৩ কাজী নাবিল, যশোর-৫ পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য, মাগুরা-১ সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ বীরেন সিকদার, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন্নাহার খালেক, খুলনা-৪ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাতক্ষীরা-৪ এস এম জগলুল হায়দার, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ পংকজ দেবনাথ, বরিশাল-৫ বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, টাঙ্গাইল-১ ড. আবদুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ মশিউজ্জামান খান রুমেল, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৩ মির্জা আজম,জামালপুর-৪ সানোয়ার হোসেন বাদশা, শেরপুর-১ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফরউল্লাহ, গোপালগঞ্জ-১ লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম। গোপালগঞ্জ-৩ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, শরীয়তপুর-১ বি এম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক, সিলেট-১ সদর আসনে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট-৪ ইমরান আহমেদ, মৌলভীবাজার-১ শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৩ সৈয়দা সায়রা মহসীন, মৌলভীবাজার-৪ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির,
কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান পাপন, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক স্বপন, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণালকান্তি দাস, ঢাকা-২ এ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১১ এ কে এম রহমতউল্লাহ, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ আসলামুল হক অথবা সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা-১৭ ওয়াকিল উদ্দিন আহমেদ অথবা মহাজোটের প্রার্থী, গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ অ্যাডভোকেট রহমত আলী, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি, নরসিংদী-৪ নুরুল মজিদ হুমায়ুন, নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ কে এম শামীম ওসমান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৫ আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৮ নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল অথবা জোটের কেউ, কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১০ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, চাঁদপুর-৪ ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া, চাঁদপুর-৫ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন, নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, লক্ষ্মীপুর-৩ এ কে এম শাহজাহান কামাল, চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৭ হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১০ আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম-১২ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ, কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল, পার্বত্য বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈ সিং ও রাঙামাটিতে দীপঙ্কর তালুকদার। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় দুজন করে প্রার্থী রাখা আছে কয়েকটি আসনে। সে আসনগুলো হলো— গাইবান্ধা-৫ আসনে ফজলে রাব্বী মিয়া অথবা মাহমুদ হাসান রিপন, চট্টগ্রাম-৬ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী অথবা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, নওগাঁ-৫ আবদুল মালেক অথবা নিজাম উদ্দিন জলিল জন, সিরাজগঞ্জ-৩ গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন অথবা লুত্ফর রহমান দিলু, পাবনা-১ শামসুল হক টুকু অথবা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, বাগেরহাট-৪ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ অথবা ডা. মোজাম্মেল হক, খুলনা-৩ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান অথবা এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম অথবা শাহীন আহমেদ, গাজীপুর-৫ বেগম মেহের আফরোজ চুমকি অথবা আখতারুজ্জামান, নরসিংদী-৫ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অথবা এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি অথবা সুজিত রায় নন্দী, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান অথবা আজিজুস সামাদ ডন, কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক আলী আশরাফ অথবা অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৯ তাজুল ইসলাম অথবা দেলোয়ার হোসেন ফারুক। এসব প্রার্থীদের ব্যাপারে সর্বশেষ জরিপ ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।