বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাননি। এই মামলায় আজ বুধবার তার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ ছিল আদালতের।
বুধবার রাজধানীর বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরানের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে হাজির হচ্ছে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
আসামি খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় কাস্টডি পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র জেল সুপার স্বাক্ষরিত কাস্টডিতে লেখা হয়, সংশ্লিষ্ট বন্দী বিজ্ঞ আদালতে যেতে অনিচ্ছুক।
পরে আদালত মামলার শুনানির জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেরন কাজল আদালতকে বলেন, মামলাটি চার্জ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আমরা মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানি করতে চাই।
অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা মামলাটির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পাইনি। কাগজপত্র চেয়ে আবেদন করেছি। অপরদিকে মামলার আসামি খালেদা জিয়া ও আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করছি।
আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির জন্য ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রডাকশন ওয়ারেন্ট বা হাজতি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির জন্য ১৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আদালত সূত্র জানায়, কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মধ্য দিয়ে সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদসহ (যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত) ১৬ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৫ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম আদালতে চার্জশিট দেন। ১৬ আসামির মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন।