কোমল পানীয় কোম্পানি কোকাকোলার (কোক) বোতলে অশালীন ও বিকৃত বাংলা শব্দের ব্যবহার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব অশালীন শব্দের ব্যবহার বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং বেভারেজ কোম্পানি কোকাকোলাসহ মোট নয় জন বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রানা। কোকাকোলার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কোকাকোলার বোতলে বাংলা ভাষার বিকৃত ব্যবহার বন্ধ, বাজারে থাকা কোকের বোতল প্রত্যাহার এবং এ নিয়ে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান রানা রিটটি দায়ের করেন।
একইসঙ্গে রিটে কোকের বোতলে বিকৃত বাংলা শব্দের প্রচার বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়। সেই রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আদালত রুল জারির আদেশ দিদেন।