দেশের ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনের চত্বরে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় যোগ দেন। রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সংবর্ধনায় যোগ দেন।
প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যরাও স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সদস্যগণ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারগণ, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকগণ, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সংবর্ধনায় যোগদান করেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কেক কাটেন। এ উপলক্ষে লাল-সবুজ রংয়ের বেলুন অবমুক্ত করা হয়।
তারা অনুষ্ঠানে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং অন্যান্য বিশিষ্টজন ও অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের কল্যাণে সবধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
পরে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা সেখানে দেশাত্ববোধক সংগীত পরিবেশন করেন।
রাষ্ট্রপতির বাসভবনের উত্তরপাশের সবুজ চত্বরে আমন্ত্রিত অতিথিদের নাশতা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।