পয়লা বৈশাখে ‘শাহেনশাহ’ ছবির মুক্তি অনিশ্চিত

বিনোদন ডেস্ক

শাহেনশাহ‘ ছবিতে শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়া
’শাহেনশাহ‘ ছবিতে শাকিব খান ও নুসরাত ফারিয়া। ছবি -সংগৃহিত

পর্যাপ্ত দেশীয় ছবি ও বাইরের দেশের ছবি এ দেশে মুক্তির শর্ত শিথিল না করা হলে আগামী ১২ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের সব সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। ১৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানান সমিতির নেতারা। এই আলটিমেটামের নতুন মাত্রা দিলেন সিনেমা বুকিং এজেন্ট সমিতির নেতারা। ২৪ মার্চ কাকরাইলে এক সভায় প্রদর্শক সমিতির আলটিমেটামের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। ১২ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের কোনো হলে তাঁরা সিনেমা বুকিং নেবেন না।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র বুকিং এজেন্ট সমিতির সভাপতি সারোয়ার ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে একমত হয়েছি। ১২ এপ্রিল থেকে বুকিং এজেন্টের কোনো সদস্য বাংলাদেশের কোনো হলে সিনেমা বুকিং নেবে না।’

এই নেতা বলেন, ‘দেশে সিনেমা নেই। নিয়মের মধ্যে থেকেও বাইরে থেকে সিনেমা আনতে গেলে শর্তের বাইরেও নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। এভাবে হল তো আর বাঁচানো যাবে না। আলটিমেটামের মধ্যে থেকেই সরকারের উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে প্রদর্শক সমিতি ও বুকিং এজেন্ট সমিতির এই আলটিমেটামের কারণে শাকিব খান, নুসরাত ফারিয়া ও রোদেলা অভিনীত বড় বাজেটের ‘শাহেনশাহ’ ছবিটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেছে। এটি পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ১২ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল।

ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া থেকে জানানো হয়েছে, আলটিমেটামের কারণে দেশের কোনো প্রেক্ষাগৃহই ছবিটির বুকিং নিচ্ছে না। বড় বাজেটের এই ছবিতে ক্ষতির আশঙ্কা করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সেলিম খান বলেন, ‘অনেক বড় বাজেটের ছবি এটি। কোনো উৎসব ছাড়া মুক্তি দিলে বড় রকমের লোকসান হবে। এরই মধ্যে ছবির দুটি গান, টিজারও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো হল বা বুকিং এজেন্ট ছবিটি বুকিং নিচ্ছে না।’

এই প্রযোজক বলেন, ‘বড় বাজেটের ছবি বলে এটি সাধারণ সময়ে মুক্তি দেওয়া যাবে না। আবার দুই ঈদে শাকিব খানের নিজের প্রযোজিত দুটি ছবি আছে। ওই সময় মুক্তি দেওয়াও লাভজনক হবে না।’

পয়লা বৈশাখের ছবির বুকিং না নেওয়া প্রসঙ্গে প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা মিঞা আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা যে আলটিমেটাম দিয়েছি, তা বহাল আছে। ১২ এপ্রিল থেকে কোনো হল খুলবে না। সুতরাং পয়লা বৈশাখের ছবি বুকিং নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ তাঁর কথা, ‘দেশের বাইরের ছবি আনার শর্ত আরও শিথিল চাই, শর্তের সঠিক ব্যবহার চাই। কলকাতার ছবি আমদানি করে একই দিন এখানেও মুক্তি দিতে চাই আমরা। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে আমদানির অনুমোদন পেতেই প্রায় তিন মাস লাগে। এর মধ্যে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি পেয়ে যায়। অনুমোদন পেতে পেতে তত দিনে ওই ছবি পুরোনো হয়ে যায়।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে