ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হলো প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র প্রস্তাবিত সবক’টি বিকল্প ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা। ফলে ব্রেক্সিট নিয়ে চলমান সঙ্কট আরো জটিল আকার ধারণ করলো। এর আগে চুক্তি অনুমোদন পেলে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার এ-ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সাধারণ ব্রিটিশদের।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ব্রিটেনজুড়ে বইছিল প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র পদত্যাগের গুঞ্জন। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। তবে জুড়ে দেন শর্ত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন পেলেই পদত্যাগ করবেন তিনি। বুধবার নিজ দল কনজাভেটিভ পার্টির সভায় এ কথা জানান থেরেসা।
তবে কবে নাগাদ তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন, সে বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তারিখ জানাননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। যদিও একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী জুনের আগেই ক্ষমতা ছাড়তে পারেন থেরেসা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণায় ব্রিটেনে শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। যদিও বেশিরভাগ ব্রিটিশ নাগরিক জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তারা মোটেও মর্মাহত নন।
একজন ব্রিটিশ নাগরিক বলেন, আমি মনে করি তার অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত। সে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আড়াই বছর ধরে আলোচনা করেছেন। তবুও কোন সমাধান দিতে পারেননি।
অন্যজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আমি মর্মাহত নই। তবে আমি বিস্মিত। কারণ প্রথমবার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণার পরই পার্লামেন্টে তার প্রস্তাবিত বিকল্প ৮টি পরিকল্পনার ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তবে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট, অভিন্ন মার্কেট পরিকল্পনাসহ সবগুলোর প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশ এমপিরা। এর মাধ্যমে ব্রেক্সিট সংকট আরো জটিল রূপ ধারণ করবে বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
আর একে হতাশাজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতারা।
ব্রিটিশ এমপি অলিভার লিটুইন বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর এমন একটি ফল আসবে, কখনোই তা আশা করিনি। আমি মারত্মকভাবে হতাশ। একইসঙ্গে সঙ্কট সমাধানেরও সম্ভাবনা দেখছি। আশা করি আগামী সপ্তাহে কিছু একটা ফল আসবে।
আগামী সোমবার ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আবারও বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।