ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় বোয়িংয়ের ‘৭৩৭’ মডেলের প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ মডেলের প্লেন গ্রাউন্ড করেছে বিশ্বের বহু দেশ। শুধু তাই নয়, এ মডেলের প্লেনের উৎপাদনও কমিয়ে দিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং।
এক বিবৃতিতে উৎপাদন কমানোর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বোয়িং।
বিবৃতিতে কোম্পানিটি বলেছে, প্রতি মাসে এ মডেলের ৫২টি প্লেন উৎপাদন করতো বোয়িং। তবে এখন তা কমিয়ে ৪২-এ আনা হয়েছে।
বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, এ মডেলের প্লেনে যে ঝুঁকি রয়েছে, আমাদেরই দায়িত্ব তা অপসারিত করা। আমরা জানি কিভাবে তা করতে হয়।
তিনি বলেন, এ মডেলের প্লেনের অ্যান্টি-স্টল সিস্টেম (এমসিএএস সফটওয়্যার) আপডেটে কাজ করছে বোয়িং। পাশাপাশি ম্যাক্স চালকদের জন্য নতুন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।
জানা যায়, বোয়িংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া ও সর্বাধিক বিক্রিত প্লেনটি হলো ‘৭৩৭ ম্যাক্স৮’।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এ মডেলের প্লেনের অ্যান্টি-স্টল সিস্টেমে ক্রুটি থাকায় বর্তমানে সেগুলো গ্রাউন্ড করে রাখা হয়েছে।
গত মার্চে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমান বন্দর থেকে ইথিপিয়ান এয়ারলাইন্সের ‘৭৩৭ ম্যাক্স’ মডেলের প্লেনটি উড্ডয়নের ৬ মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয়ে এর ১৫৭ আরোহীর সবাই নিহত হন।
এর পাঁচ মাস আগেই ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের এ মডেলের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে প্লেনে থাকা ১৮৯ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, বিধ্বস্ত হওয়া দু’টি প্লেনের পাইলটরাই প্লেন দু’টির অ্যান্টি-স্টল সিস্টেম নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন। যার ফলে প্লেন দু’টি খাড়াভাবে অবতরণ করতে হয়েছিল।এ