মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সমুদ্রসৈকতে ৩৭ জন রোহিঙ্গা মুসলমানকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
আজ সোমবার সমুদ্রপথে মালয়েশীয় সৈকতে পৌঁছানো রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে রওনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মালয়েশীয় পুলিশ।
আটককৃতরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি
তাদের সবাই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন বলে জানিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা মুসলমানেরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সম্প্রতি মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গাদলকে বিরত করে দেশ দুটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ ছাড়া গত মাসে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় পারলিস প্রদেশের সুঙ্গাই বেলাতি সমুদ্রসৈকতে ৩৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
সোমবার ভোরে সমুদ্রসৈকতে পৌঁছানোর পর ৩৭ জনকে আটক করে সিমপাং আম্পাত শহরে নিয়ে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান নুর মুসার মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানান।
আটককৃতরা ছোট নৌকায় ছিল। পুলিশের ধারণা এর আগে বড় নৌকায় করে এনে তাদের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।
২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংঘাতের পর হাজার হাজার রোহিঙ্গা সমুদ্রপথে মিয়ানমার ছেড়ে পালাতে থাকে। ২০১৫ সালে এসে তা চরম আকার ধারণ করে।
জানা যায়, প্রায় ২৫ হাজার রোহিঙ্গা এ বছর আন্দামান সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে সাগরের পানিতে ডুবে এদের অনেকেরই করুণ মৃত্যু হয়।