চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। শুক্রবার বেলা ১২টায় শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছু সময় নীবরে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডিতে পৌঁছার আগেই। ৩২ নম্বরের রাস্তায় লোক চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি পরিদর্শক বইয়ে তার মন্তব্য লেখেন এবং স্বাক্ষর করেন।
এর আগে তিনি সাভার স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন।
আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাইগার গেটে শেরিংকে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করে ভুটানের বাণিজ্য সুবিধা ছাড়াও স্বাস্থ্য খাতে কয়টি চুক্তি হতে পারে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চামেলী হলে আনুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবি হলে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর ও যৌথ বিবৃতি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তার সম্মানে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
বাংলাদেশ সফরকালে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং। ১৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সুরের ধারার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটিই প্রথম কোনো রাষ্ট্র প্রধানের বাংলাদেশ সফর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশে আসেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। সফর শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভুটানে ফিরে যাবেন তিনি।