সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান ক্রয় ও চাল বিক্রি করলে কৃষক ও চাতাল মালিক উভয়ই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, চালের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চালের দাম ভোক্তাদের নাগালেই থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা চত্বরে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ৫শ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদামের ফলক উন্মোচন শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত ধানের নায্য মূল্য পেতে আগামী ২৫ এপ্রিল বোরো ধানের চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হবে। বিগত বছরগুলোতে ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ার পর ২৫ মে বোরো ধান-চাল কেনা শুরু হতো। এতে কৃষকরা তাদের ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতো। বর্তমান সরকারের দুর্নীতি রোধের কারণে মিলাররা দেশে সিন্ডিকেট করতে পারবে না। এতে আগাম চাল সংগ্রহ করায় কৃষকরা তাদের নায্য মূল্য পাবেন। সারাদেশ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। প্রয়োজন হলেও আরো বেশি চাল সংগ্রহ করা হবে।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম আলী বেগ, উপজেলা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সামছুল আলম খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.জা.ম শফি মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক আবু খালেদ বুলু, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইমামুল আল হাসান তিতু, উপজেলা ভারপাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান, বদলগাছী খাদ্য-গুদাম কর্মকর্তা জাকারিয়া হাসান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কিশোর, মিঠাপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।