বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উপলক্ষে কিছুক্ষণ আগে উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলার দ্বিতীয় গেট থেকে ৩০তম মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে চারুকলা অনুষদ।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও জনতার এতে অংশ নেয়ায় উদ্দীপনার মোটেও কমতি দেখা যাচ্ছে না। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সকলে উপভোগ করছেন মঙ্গল শোভাযাত্রা। শাহবাগ মোড় এখন অসংখ্য মানুষের স্রোতে মুখরিত।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঘ, পেঁচা, ময়ূর, হাতি, ঘোড়ার প্রতিমূর্তি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অনেক উৎসাহী বিদেশিদেরকেও মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
মেট্টোরেল প্রকল্পের কারণে এবার মঙ্গল শোভাযাত্রার রুট কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। এ কারণে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (সাবেক শেরাটন) পর্যন্ত যাবে না শোভাযাত্রাটি। শিশু পার্ক পর্যন্ত গিয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে টিএসসি হয়ে শোভাযাত্রাটি আবারও চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে।
জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তাদের ‘রিপ্রেজেনটেটিভ লিস্ট অব ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছ।ইউনেসকোর স্বীকৃতি লাভের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ বছরও বৈশাখী উৎসবে মঙ্গল শোভাযাত্রা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৯৮৯ সালে থেকে প্রতি বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়ে আসছে।