তালাকে সালিশি কাউন্সিলের ভূমিকা নিশ্চিত করতে নীতিমালা চেয়ে রুল

ডেস্ক রিপোর্ট

ভারতে ৩ তালাকের দিন শেষ
তালাক। প্রতীকী ছবি

হাইকোর্ট পবিত্র কোরআন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশনের আলোকে বিবাহ বিচ্ছেদ, সন্তান হেফাজত, দেনমোহর ইত্যাদিতে সালিশি কাউন্সিলের ভূমিকা নিশ্চিত করে নীতিমালার করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

আজ সোমবার জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

এ ছাড়া, হাইকোর্ট পবিত্র কোরআন ও আইন অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, ভরণ পোষণ, অন্যান্য খরচাদি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে সালিশি কাউন্সিল কার্যকরী করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সচিব (ড্রাফটিং), মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, এলজিআরডি সচিব ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পরে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ জানান, ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, তালাক আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপোসের বা তালাক প্রত্যাহারের আবেদন না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যায়।


“হাইকোর্ট পবিত্র কোরআন ও আইন অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, ভরণ পোষণ, অন্যান্য খরচাদি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে সালিশি কাউন্সিল কার্যকরী করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন।”

তালাক আবেদনের পর সালিশি কাউন্সিল মধ্যস্থতার জন্য ৯০ দিনে তিনবার উভয় পক্ষে নোটিশ দিয়ে ডাকবেন।  কিন্তু কাউন্সিলের এ ডাকে কোনো পক্ষ যদি না আসেন, তাহলেও তালাক কার্যকর হয়।

তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটি কার্যকর হলে তো সব কিছু শেষ হয়ে যায় না।  কিন্তু এর সঙ্গে দেনমোহর, ভরণ পোষণ, সন্তান থাকলে তার জিম্মা নেওয়ার বিষয় থাকে।  এ কারণে তালাক হয়ে যাওয়ার পরও এ বিষয়গুলো নিয়ে মামলা হয়, যা নিষ্পত্তিতে অনেক সময় লেগে যায়।  তাই আমরা বলেছি পবিত্র কোরআনের স্পিরিট ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী সালিশি পরিষদ কার্যকর করা এবং এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন করার নির্দেশনায় রুল জারি করতে।  আদালত রুল জারি করেছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সেক্রেটারি সীমা জহুর ও আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম এ রিট করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে