আজ সোমবার সকাল থেকেই শেখ সেলিমের বনানীর বাড়িতে একে একে ভিড় করছেন নিকটাত্মীয় ও দলের নেতা-কর্মীরা। তাদের অনেকের কান্নার সুরে যেন বনানীর বাতাস ভারী হয়ে গেছে।
বাসার সামনে ও রাস্তার দুই পাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কাউকে বাসায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সবমিলিয়ে সেখানে একটি শোক বিহ্বল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ সেলিম।
পরিবারের আদরের সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা সবাই। তাই সকাল থেকে একে একে দলে ঊর্ধ্বতন নেতারা বনানীর এই বাসায় আসছে শোক সমবেদনা জানাতে।
ইতিমধ্যে শেখ সেলিমসহ পরিবারে সবাই বনানীর বাসায় পৌঁছেছেন। তাই তো বনানীর বাতাস আজ একটু ভারী, শোকাহত পরিবার আর পরিজনকে সান্ত্বনা জানাতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ।
এর আগে রোববার বোমা হামলায় জায়ানের মৃত্যুর খবর শোনার পরেই শ্রীলঙ্কায় ছুটে যান পরিবারে অন্য সদস্যরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার জায়ানে মরদেহ নিয়ে তার আসছেন। তবে আরও একদিন দেরি হতে পারে বলেও গণমাধ্যমে খবর আসছে।
শেখ সেলিম যেহেতু বনানীর বাসায় আছেন, তাই তার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা একে একে ছুটে আসছেন তাকে সমবেদনা জানাতে।
আজ সকালে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর ২/এ রোডের ৯ নম্বর বাসায় যান শিল্পমন্ত্রী। মন্ত্রীর পর সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও শেখ সেলিমের ভাই শেখ মারুফ বাসায় প্রবেশ করেন।
কিভাবে জায়ানের মরদেহ খুব দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই ব্যাপারে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ মিশনের সাথে তারা পরিবার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন।
এদিকে জায়ানের বাবার দুই পা গুরুতর জখম হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে তাকে সেখানে রেখেই চিকিৎসা করা হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (২১ এপ্রিল) ইস্টার সানডের দিন তিনটি গির্জা ও চারটি অভিজাত হোটেলে একযোগে সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন ২৯০ জন।