চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে অভিযুক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলাম আত্মগোপনে চলে গেছেন। এদিকে এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।
লোহাগাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জহির উদ্দিন বলেন, ধর্ষক কোচিং সেন্টার বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে গেছে। তবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওই উপজেলার উত্তর আমিরাবাদ আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু করে। পরে উত্তর আমিরাবাদের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী, তার বোন ও দুই ভাইকে ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে সাইফুলের সাথে ওই ছাত্রীর পরিবারের যোগসূত্র গড়ে ওঠে।
গত ১২ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতে তার বাসায় যায় কোচিং সেন্টারের পরিচালক সাইফুল। বাসায় তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে সাইফুল। এসময় চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনা শোনার পর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে চমেক হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগ, একটি প্রভাবশালী মহল মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে যেকোনো মুহূর্তে এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দিচ্ছে মহলটি।