চাকরির মেয়াদ এক মাস বাকি থাকতেই পদত্যাগ করলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মোসাদ্দেক হোসেন। মঙ্গলবার বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে বিমান সূত্রে জানা গেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক মঙ্গলবার রাতে বলেন, বিমানের এমডি মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে পাইলট নিয়োগ, বিমানের বিভিন্ন স্টেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার নিয়োগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছি। সোমবার বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবনে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মোহাম্মদ ইনামুল বারী, সদস্য, নির্বাহী পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পদাধিকার বলে মোসাদ্দেক হোসেনও এই কমিটির একজন সদস্য।
বিমান সূত্র জানায়, বিমানের পাইলট নিয়োগের বিষয়ে ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্প্রতি, ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জামা দেয়। তাতে পাইলট নিয়োগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে এমডি মোসাদ্দেক হোসেনের আপন ভাতিজাকেও পাইলট হিসেবে নিয়োগ দিতে বিশেষ সুবিধার দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া লন্ডনে কোটি কোটি টাকার (ফ্রি) টিকিট ইস্যু করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল লন্ডনেরর বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। তাকেও ওএসডি করা হয়।
বিমানের সূত্র জানায়, এমডি মোসাদ্দেক হোসেনের চাকরির মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ মে শেষ হওয়া কথা। এ জন্য মাস দুয়েক আগে নতুন এমডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিমান। কিন্তু তার আগেই পাইলট নিয়োগের দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের কারণে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হলো।
মো. মুহিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল।