ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ১২টি জেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার রাজ্য সরকার।
ওড়িশার পুরীর স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, কেবল পুরীতেই নিহত হয়েছে ২১ জন। বাকি ১২ জন রাজ্যের অন্যান্য অংশে নিহত হন।
এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায় তুমুল ঝড়ে নষ্ট হয়েছে প্রায় ৫৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ফসল ও সম্পত্তি।
তবে ঝড়ের তীব্রতা কমে যাওয়ায় বিশেষ ক্ষত হয়নি পশ্চিমবঙ্গে। বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতির সময়ে প্রশাসনের পাশে থাকার জন্য বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার ওড়িশায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
- রমজান শুরু কবে জানা যাবে সোমবার
- হোপ-ক্যাম্পবেলের উদ্বোধনী জুটির বিশ্ব রেকর্ড
- যুবক হয়ে মায়ের বুকে ফিরল নিখোঁজ শিশু নাঈম
শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ পুরীতে আছড়ে পড়ে ফণী। তার পরে ওই ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয় ভুবনেশ্বর, বালেশ্বর, জাজপুর, খুরদা ও নয়াগড়ের মতো এলাকা। এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তবে দেশটির প্রশাসনের দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১১ লক্ষ বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরানোয় ব্যাপক প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ওড়িশার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ মহাপাত্রের কথায়, এই ঝড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন বলে ধারণা। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনও সঠিক সংখ্যা জানতে পারিনি।