বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত একজন ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী হৃদযন্ত্রের অনিয়মিত ও বিপজ্জনক স্পন্দন শনাক্ত করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর একটি যান্ত্রিক কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। ব্রিটেনের একটি বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল এ খবর জানায়।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট ডা. রামিন শাকুর বিশ্বের প্রথম এই হার্ট বিট রিডিং ডিভাইসটি উদ্ভাবন করেছেন। এটি হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক স্পন্দন শনাক্ত করতে সক্ষম এবং ফলে এটি রক্তক্ষরণের প্রভাবও কমাতে পারে।
ক্যামব্রিজ সায়েন্স পার্ক জার্নাল জানায়, এই ডিভাইসটির নির্মাতা কোম্পানি উদ্ভাবনী ও নতুন হার্ট মনিটরিং ডিভাইসের মাধ্যমে সঠিক সময়ে অনিয়মিত ও বিপজ্জনক হার্ট বিট শনাক্ত করার মাধ্যমে রক্তক্ষরণ পরবর্তী ঝুঁকি কমাতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে।
কারো ইসিজি করানো প্রয়োজন হলে ‘হল্টার মনিটর’ নামে একটি ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। এতে রোগীর বুকে ১২টি লিড পরাতে হয়, যা ক্ষতিকর।
‘কিন্তু নতুন উদ্ভাবিত ডিভাইসটি ‘দ্য ক্লাউড’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করেই হার্ট বিট কাউন্ট করতে পারে, যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।’ ডা. রামিন শাকুর লন্ডন থেকে ফোনে বাসসকে এ কথা বলেন।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজের ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা. রামিন বলেন, এটি তাৎক্ষণিকভাবে ইসিজি প্রদর্শনের জন্য বিশ্বের একমাত্র ডিভাইস। আর এটি দিনে ১০-১৫ জন লোক ব্যবহার করতে পারবে।
৩৬ বছর বয়সী তরুণ এই চিকিৎসা বিজ্ঞানী এই ডিভাইসটি বাংলাদেশে চালু করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এই ডিভাইসটি চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।