একেই হয়তো বলে ভাগ্য। প্রথমে দলেই সুযোগ ছিল না। যখন সুযোগ হলো দলে এসে কিছু করে দেখানোর; তখনই মুখ ফিরিয়ে নিল ভাগ্যদেবী। আয়ারল্যান্ড সফরে থাকা তাসকিন আহমেদ, ফরহাদ রেজা, ইয়াসির আলী কিংবা নাঈম হাসানদের মনের অবস্থা এখন করুণ। বিশ্বকাপ দলে যদি জায়গা নাও মেলে, ভালো কিছু করতে পারলে, অন্তত বিশ্বকাপের পরের পথচলার জন্যও জোর দাবি জানিয়ে রাখা যেত। কিন্তু আয়ারল্যান্ডে যে পরিমাণ বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে তো নিজেদের পারফর্মেন্স দেখানোর কোনো সুযোগই পাচ্ছেন না তারা!
প্রথম ম্যাচে উড়ন্ত জয় পেলেও গতকালের ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাই ফাইনাল নিয়ে আছে দুশ্চিন্তা। এমন পরিস্থিতিতে নবীনদেরকে পরখ করে নেওয়ার ঝুঁকি বাংলাদেশ নিতে চাইবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। দলের ভাবনা ছিল, ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়ে গেলে প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে পরখ করে দেখা হতো কয়েকজনকে। কিন্তু ফাইনালে উঠতে যদি নির্ভর করতে হয় শেষ ম্যাচের ফলে, দল নিশ্চিতভাবেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝুঁকিতে যেতে চাইবে না।
এই পরিস্থিতি গোপন না করেই কোচ স্টিভ রোডস বললেন, আজকের (গতকাল) ম্যাচটি জিতলে সামনে হয়তো আমরা ওদের পরখ করতে পারতাম। তা হলো না, কেবল দু’টি পয়েন্টই পেলাম। ওদের কয়েকজনের খেলার সম্ভাবনা তাতে কিছুটা হলেও কমে গেল, যা খুবই হতাশার। তবে ওরা যারা আছে, বিশেষ করে ইয়াসির ও ফরহাদ, ওদেরকে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখেছি আমি। ভালো লেগেছে ওদের খেলা। এখানে কাছ থেকে দেখতে চেয়েছিলাম। ওদের পেশাদারীত্ব, কিভাবে দলে মিশতে পারে, এসব দেখতে চেয়েছিলাম।
আয়ারল্যান্ডে গিয়ে কোচের সুদৃষ্টি পাওয়ার আশায় অনুশীলনে নিজেদের উজার করে দিচ্ছেন চার জনই। জিমেও তারা নিয়মিত মুখ। ব্যাটিং-বোলিং কোচরা আলাদা কাজ করছেন তাদের নিয়ে। দলে উপস্থিতি প্রাণবন্ত। যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন মূল গ্রুপের সঙ্গে মিশে যেতে। তাদের নিয়ে রোডস এখনই আশা ছাড়ছেন না, আশা করি ওরা দু’জনই সুযোগ পাবে। যদি সুযোগ না হয়, এরপরও ইতিবাচক অনেক কিছু আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখতে পারলে ভালো লাগত। তবে সেই সুযোগ না হলেও যেটুকু হচ্ছে তা কম নয়।