টানা দুই সপ্তাহ প্রচণ্ড দাবদাহের পর ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি হয়েছিল। এতে তাপমাত্রও কিছুটা কমেছিল। কিন্তু এর পরবর্তী সময় থেকে আবারও সূর্যের খরতাপে পুড়ছে পুরো দেশ।
রমজান মাস হওয়ায় গরমের তীব্রতায় রাস্তা-ঘাটে চলাচলে অন্যান্যদের পাশাপাশি ব্যাপক বেগ পেতে হচ্ছে রোজাদারদেরও। এছাড়া কৃষকরাও কাজ করতে পারছেন না মাঠে। তাই বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে তার দিকে চোখ সবার।
তবে এবার আশার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। বলছে, আগামী রোববার (১২ মে) রাতে অথবা সোমবার (১৩ মে) সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর দেশের কিছুটা তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
শুক্রবার (১ মে) সকালে রাজধানীতে রোদের তাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের ফাঁকে ফাঁকে মেঘ উঁকি দেয় । ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। গত দুইদিন ধরে বাতাসের এ গতি অনুভব করা যায়। তবে গরমের প্রখরতা কমেনি।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, আগামী রোববার রাত অথবা সোমবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ কমে আসবে। এতে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে।
তিনি আরও জানান, পাঁচ দিনের মতো এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর আবারও তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এখন গ্রীষ্মকাল হওয়ায় দেশে গরম বিরাজমান থাকবে।
শুক্রবারের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে অংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক তাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া নোয়াখালী ও দিনাজপুর অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।