বিএনপি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও তফসিল ঘোষণা ৮ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি দলটি।
তবে নারী প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কোনো ভূমিকা রাখতে চাইছেন না। বিষয়টি তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন।
নিয়মানুযায়ী বিএনপি একটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে।
সেই একটি মাত্র সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে প্রকাশ্যে কোনো তৎপরতা না থাকলেও বিএনপি নেত্রীদের মধ্যে অনেকেই গোপনে গোপনে লন্ডনে লবিং-গ্রুপিং করছেন।
তাদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের স্ত্রী আসিফা আশরাফী পাপিয়া, সাবেক মহিলা এমপি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনির নামও শোনা যাচ্ছে।
তবে এদের মধ্যে লন্ডন দৌড়ে এগিয়ে আছেন শ্যামা ওবায়েদ ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
এই দুইজন তারেক রহমানের ‘গুডবুকে’ আছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সদ্য সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হারুন অর রশীদ বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বিএনপির একটি সূত্র বলছে, বুধবার সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ব্যাংকক গেছেন। ওখান থেকে তিনি লন্ডন যাবেন। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সংরক্ষিত নারী আসন ও বগুড়া-৬ আসেন প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।
দলীয় সূত্রটি আরও জানায়, সংরক্ষিত নারী আসনে একমাত্র প্রার্থী বাছাইয়ে দলের মধ্যে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। যারা নির্বাচনে সাধারণ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের সংরক্ষিত আসনে না দেয়ার দাবি উঠছে।
এ প্রসঙ্গে দলের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, আসলে আমরা নারী আসনে প্রার্থীর বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানেই ঠিক করবেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, নানা নাটকীয়তা শেষে দলীয়ভাবে সংসদে যোগ দেয় বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মাত্র ৬ জন নির্বাচিত হন। যদিও মির্জা ফখরুল শপথ নেননি।
শেষ মুহূর্তে বিএনপির নির্বাচিত পাঁচজন সংসদে যোগ দেওয়ায় দলটির ভাগের একটি নারী আসন পড়েছে। সেই অনুপাতে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী ২০ মের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
- আরও পড়ুন >> মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে ‘একঘরে’ করার আহ্বান জাতিসংঘের
- আরও পড়ুন >> ছাত্রলীগের কমিটি : বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- আরও পড়ুন >> কৃষকের সঙ্গে দয়া করে মসকরা করবেন না: হুইপ আবু সাঈদ
একাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ৪৯টি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র একজন রয়েছেন। এতদিন নির্বাচিতরা শপথ না নেওয়ায় বিএনপির জন্য নির্ধারিত একটি নারী আসন স্থগিত রাখা হয়েছিল।