বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা ও মানুষে-মানুষে গভীর ভালোবাসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তিনি নিজ অনুসারীদের চিরন্তন বাণীতে মানবকল্যাণে ব্রতী এবং জীবের প্রতি প্রেম দেখাতে উদ্ধুদ্ধ করে গেছেন।
আজ শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দেয়া বাণীতে ফখরুল আরও বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন-হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয়ে অহিংসার। আজ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব রক্তাক্ত, হানাহানি ও সংঘাত-সংঘর্ষে ক্ষতবিক্ষত। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসা ও ন্যায়ের পথে চালিত করবে। শান্তি, সম্প্রীতি ও মানব প্রেম সকল ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজও বিশ্বসমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী অতীব প্রাসঙ্গিক।
বাণীতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সুখ আহরণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সকল মায়াবী বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সকল প্রতিকুলতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি জগতের সকল প্রাণির কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের জন্য নিরন্তর ধর্ম প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তার বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।
ফখরুল বলেন, আমরা জানি, গৌতম বুদ্ধ সমাজে ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সপ্ত অপরিহনীয় ধর্ম প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সকল স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গলসূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধময় আলোকিত সমাজ। যে সমাজে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো সংঘাত-সহিংসতা। আজকে আমরা বাংলাদেশসহ বিশ্বে সেই অবস্থা দেখতে পাচ্ছি না। প্রতিদিন আমরা শুনতে পাচ্ছি অধিকার বঞ্ছিত মানুষের কান্না, চারদিকে হাহাকার আর যন্ত্রণা।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃ-গোষ্ঠী একত্রীভূত হয়। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে।