শিবালয়ে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই যমুনায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন ধরে নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যমুনার তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেওয়ায় আরিচা বন্দর হুমকির মুখে পড়েছে।
উপজেলার তেওতা, নিহালপুর, আরিচা, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে ওই সব এলাকার ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় এসব নদীতে বিলীন যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।
নদীভাঙনের কারণে আরিচা বন্দর প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে এসেছে এবং দিন দিন আরিচা ঘাটের মানচিত্র ছোট হয়ে আসছে। এক সময় এই ঘাটই ছিল দেশের উত্তর, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩৬টি জেলার সঙ্গে নৌ-যোগাযোগের কেন্দ্র।
এ ঘাটের ওপর চাপ কমানো ও উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের দূরত্ব কমানোর জন্য ১৯৯৮ সালে ভূঞাপুর যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর আরিচা ঘাটের গুরুত্ব কমে যায়। এরপর নদীতে নাব্য সংকট ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নৌপথের দূরত্ব কমানোর জন্য আরিচা ঘাট থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার ভাটিতে ফেরিঘাটটি পাটুরিয়া নামক স্থানে ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হয়। চালু করা হয় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট।
শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল জানান, নদীভাঙনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো হবে।
ইউএনও এএফএম ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ভাঙন রোধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই ভাঙন রোধে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। ভাঙন এলাকার বিভিন্ন স্থানে জিও ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে।