খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি আজ

আদালত প্রতিনিধি

খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত স্থানান্তরে জারি করা সরকারের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আজ (সোমবার) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে আবেদনটির শুনানি হতে পারে।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদবহির্ভূত পদক্ষেপ হওয়ায় এবং প্রচলিত ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৯-এর (১) ও (২) উপধারাবিরোধী হওয়ায়, নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিচারে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নং ভবনে স্থানান্তরে জারি করা গেজেটকে কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে আবেদনে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন একজন পাবলিক ফিগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো ট্রায়াল পাবলিকলি হওয়া উচিত। কেরানীগঞ্জের কারাগারের একটি রুমে কখনও পাবলিক ট্রায়াল হতে পারে না। তাছাড়া আইনে আছে, মামলাটির বিচার মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে হতে হবে। কিন্তু কেরানীগঞ্জের কারাগার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে। আমরা মনে করি, মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ খালেদা জিয়ার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন। আদালত স্থানান্তরের যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেটির কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছি, আশা করি আদালত স্থগিতাদেশ দেবেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আদালত স্থানান্তরে জারি করা গেজেট বাতিলে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে আইন সচিবকে আইনি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে বলা হয়েছিল, এর মধ্যে গেজেটটি প্রত্যাহার বা বাতিল না করলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। বর্তমানে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন সুস্থ হলে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার সিদ্ধান্তও এরই মধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

দুর্নীতির মামলায় এক বছর আগে দণ্ডের পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে খালেদা জিয়াকে রেখে তার বিরুদ্ধে অন্য কয়েকটি মামলার বিচারও সেখানেই চলছিল। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির দুই মামলায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে মোট ৩৬ মামলার মধ্যে চারটিতে জামিন পেলে মুক্তি পেতে পারেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে