তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানকে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে এ ঘোষণা দেন তিনি। যদিও সাংবিধানিক সৌজন্যতা বলে মঙ্গলবার শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের।
আজ বুধবার দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় মমতা ব্যানার্জি বলেন, বিজেপি যেভাবে তার দলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনছে তার জন্যই তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন না।
মমতা লেখেন, দয়া করে আমাকে মাফ করবেন। আমার দলের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত ভোট থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি বিজেপির কর্মী- সমর্থক খুন হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
এসব নেতাকর্মীদের শহিদ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে তাদের পরিবারের লোকজনদের উপস্থিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। বিজেপির এ সিদ্ধান্তেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা।
৫৪ জন বিজেপি কর্মী বাংলায় খুন হয়েছেন বলে যে দাবি বিজেপি করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে টুইটে দাবি করেছেন মমতা ব্যানার্জি টুইটারে তিনি লিখেন, বাংলায় কোনও রাজনৈতিক খুন হয়নি। ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক কলহ বা অন্য কোনও বিবাদের কারণে এই সব মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে, রাজনীতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের কাছে সে রকম কোনও রেকর্ড নেই।
টুইটের শেষে মমতা ব্যানার্জি লিখেছেন, গণতন্ত্রের উদযাপনে পালিত এই অনুষ্ঠানের একটা সম্ভ্রম রয়েছে। একটি দল এই অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করছে ‘রাজনৈতিক পয়েন্ট’ তোলার কাজে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, গণতন্ত্রে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে চেষ্টা করি উপস্থিত থাকার। এটা সাংবিধানিক সৌজন্য। আমি চেষ্টা করছি হাজির থাকার।