রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জার্মানির প্রতি দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বিকেলে বঙ্গভবনে জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড. থমাস হেনরিখ প্রিঞ্জ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি সরকার-সরকার (গভর্মেন্ট টু গভর্মেন্ট) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নার আবেদীন বাসসকে বলেন, রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে জার্মানি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে চলমান সুসম্পর্কের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তখন থেকে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন জোরদার হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ট উন্নয়ন সহযোগী। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক খুবই চমৎকার।’
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের মেয়াদে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূতের সামগ্রিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের সার্বিক পরিবেশের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বহু জার্মান বিনিয়োগকারী ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ করেছে। অনেকেই এখানে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।’ রাষ্ট্রদূত দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দৃঢ়মূল উল্লেখ করে বলেন, এটি সুশীল সমাজ পর্যায়েও সম্প্রসারিত হয়েছে।
বঙ্গভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জার্মানির প্রতি ই-পাসপোর্ট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ডেস্ক রিপোর্ট