হুয়াওয়েতে থাকছে না ফেসবুক-হোয়্যাটসঅ্যাপ

ডেস্ক রিপোর্ট

হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসার পর থেকেই সংকট বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির। একের পর এক চাপের পর এবার হুয়াওয়ের পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে মার্ক জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠান ফেসবুক।

হুয়াওয়ে স্মার্টফোনে অ্যাপ প্রি-ইনস্টল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। একই সাথে থাকছে না ইনস্টাগ্রাম ও হোয়্যাটসঅ্যাপের অ্যাপ্লিকেশনও। ফলে চীনা প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোনে আগে থেকেই আর এসব অ্যাপ ইনস্টল থাকবে না।

শুক্রবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসার পর পশ্চিমা প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে এটি হুয়াওয়ের জন্য আরেক ধাক্কা। তবে এ সিদ্ধান্ত হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। অর্থাৎ এখন থেকে যেসব স্মার্টফোন তৈরি করবে হুয়াওয়ে, সেগুলোতে থাকবে না ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়্যাটসঅ্যাপ প্রিইনস্টল অবস্থায় থাকবে না।

তবে গ্রাহকরা চাইলে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মূল অ্যাপ ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এমনকি প্লে স্টোরের মাধ্যমে নিয়মিত আপডেটও দেওয়া হবে অ্যাপগুলোতে। তবে, গুগলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অ্যান্ড্রয়েড সেবা ব্যবহার করতে পারবে না হুয়াওয়ে। আর এআরএম-এর কারণে নিজস্ব চিপ বানাতে বাধার মুখে পড়েছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।

উল্ল্যেখ, গত ১৫ মে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে ট্রাম্প প্রশাসন। সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সংস্থা থেকে প্রযুক্তিসেবা নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ের। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ)-তে হুয়াওয়েকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমন একটি তালিকায় রাখা হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে কোনো আমেরিকান কম্পানি লাইসেন্স ছাড়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর হুয়াওয়ের ওপর অ্যান্ড্রয়েডড অপারেটিং সিস্টেমের কিছু আপডেট করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গুগল। যার ফলে হুয়াওয়ের স্মার্টফোনের নতুন কয়েকটি মডেল থেকে কিছু গুগল অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।

এর প্রেক্ষিতে গত ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আইন কর্মকর্তা সং লিওপিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা একটি প্রাইভেট কম্পানির বিরুদ্ধে তাদের সব শক্তি প্রয়োগ করছে, যা স্বাভাবিক নয়। এমনকি ইতিহাসে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। হুয়াওয়ে যে তাদের দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি- এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনো ধরনের প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেনি। বিষয়টা এমন যে কোনো প্রমাণ নেই, কিন্তু তারা অভিযোগ বা সন্দেহ করছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে