একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর সৌদি আরবে আরো হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।
সৌদি আরবের আসিরে কিং খালেদ বিমান ঘাঁটিতে সোমবার ড্রোন হামলার দাবি করে হুতি আন্দোলনের মুখপাত্র ইয়াহয়া সারি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেও সৌদি আরব হুতিদের ড্রোনকে শনাক্ত করতে পারেনি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে হুতি মুখপাত্র জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদির জন্য আরও বিস্ময় অপেক্ষা করছে। ভবিষ্যতে সঠিক সময়ে তা জানানো হবে।
কিং খালিদ বিমান ঘাঁটিটি ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে চার বছর ধরে লড়াই করা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। ইয়েমেন ভূখণ্ডে হামলার জন্য ঘাঁটিটি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ইয়াহয়া সারি।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী যে কোনো বড় ধরণের হামলা চালাতে সক্ষম দাবি করে তিনি বলেন, ইয়েমেনে হামলা বন্ধ না করলে আগামীতে হামলার মাত্রা আরও বাড়ানো হবে।
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার পর রমজানের শুরু থেকে সৌদি আরবের শহরগুলোতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা।
রমজানের মধ্যে হুতি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবে ২টি ব্যালাস্টিক মিসাইল ছুড়লে একটি জেদ্দার রেড সি পোর্টের কাছে, মক্কা অভিমুখী অপর মিসাইলটি মক্কার ৫০ কিলোমিটার দূরে তায়েফে ভূপাতিত করে সৌদি এয়ার ডিফেন্স ফোর্সেস।
এর আগে সৌদি আরবের দুটি পাম্পিং স্টেশনে সশস্ত্র ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালিয়েছিল হুতি বিদ্রোহীরা।
এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আরমাকো তেল সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
ইরানি মদদপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করার পর দেশটির সৌদি সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আব্দে রাব্বি মানসুর হাদিকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
পরে আব্দে রাব্বি মানসুর দেশ ছেড়ে পালিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলে যান।
এরপর ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি সামরিক জোট।
জাতিসংঘ জানায়, গত চার বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে অন্তত ছয় হাজার ৮০০ বেসামরিক লোক নিহত ও সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন।