রাজধানীর উত্তরায় গাড়ির ভেতরে এক উবার চালককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৫২ নম্বর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত উবার চালকের নাম আরমান ওরফে আমান (৩৭)। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী থানার ফতে মোহাম্মদপুরের মৃত আব্দুল আব্দুল হাকিমের ছেলে। মিরপুরের ১১ নম্বরে ১২ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর লেনের ১৬ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরির্দশক (এসআই) মুশফিকুর রহমান বলেন, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কে কে কা কারা গাড়ির ভেতর একজনকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
নিহত আরমান যে গাড়ির চালক ছিলেন, সে গাড়ির মালিক মিরপুর ১১ নম্বরের ৬ নম্বর লেনের ১২ নম্বর সড়কের এক ব্যবসায়ীর। তার ৭টি প্রাইভেটকার রয়েছে। সবগুলোই উবারে ভাড়া দেয়া।
গাড়ির মালিকের ছোট ভাই অন্তর বলেন, রামপুরার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে রাত ১১টা ২১ মিনিটে উবারে কল পেয়ে যাত্রী নিয়ে উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরে আসেন চালক আরমান। সেখানে ১২টা ৪ মিনিটে তার ট্রিপ শেষ করে মিরপুরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১টার বেশি বেজে গেলেও তার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় আমি ড্রাইভার আরমানকে ফোন দিই। তখন অন্য একজন ফোন রিসিভ কেরে জানান, তার দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর আমাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। পরবর্তীতে আমি আরেকটি গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গাড়ির ভেতর আরমানের গলাকাটা মরদেহ।
- আরও পড়ুন>> পুলিশের ২১ কর্মকর্তাকে বদলি
অন্তর আরও বলেন, আরমান প্রায় এক বছর যাবৎ আমাদের গাড়ি চালাতেন। সর্বশেষ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আমরা দুই জন মিরপুরের একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। পরে সে আমাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। এর পর রাতেই হত্যা করে কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
আরমানের স্বজনরা জানান, আজ (শুক্রবার) নারায়ণগঞ্জে তার ছোট বোনের বিয়ে। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ হয়েছে। গতকাল রাতেই গাড়ির মালিকের কাছে বুঝিয়ে সেখানে যাবার কথা ছিল। কিন্তু রাতের আধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। আলামত সংগ্রহ শেষে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।