দিনাজপুরে গত মাসে দুইজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বলছে, তরিকুল ইসলাম নামে তাদের এক বন্ধু চলন্ত মোটরসাইকেলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম জানান, গত বৃহস্পতিবার তরিকুলকে তারা গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছেন। তিন বন্ধুই ‘মাদক বিক্রেতা’।
তরিকুল জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার পালপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। নিহত বিপ্লব চন্দ্র রায় ও হানিফুর রহমান হানিফ ছিলেন তার একই এলাকার বন্ধু।
তরিকুলের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, তিন বন্ধুই মাদক চক্রের সদস্য। আর্থিক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে করে তরিকুল দুই বন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি বলেন, তিনজন এক মোটরসাইকেলে চলার সময় মাঝখানে বসেছিলেন তরিকুল। প্রথমে পেছনে বসা বিপ্লবের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন তরিকুল। চালক হানিফ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তরিকুল তার গলায়ও ছুরি চালিয়ে দেন। এতে তিনজনই মোটরসাইকেল উল্টে পড়ে যান। পরে তরিকুল মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে দুইজনের লাশ।
- আরও পড়ুন, সৈয়দপুরে নদীতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
তিনি জানান, তরিকুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মোটরসাইকেল ও ছুরি ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৩০ মে ভোরে বীরগঞ্জের দেবীপুর এলাকা থেকে খোলাভিটা গ্রামের রাজেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে বিপ্লব ও মদনপুর আমতলী গ্রামের আজহার আলীর ছেলে হানিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।