আফগানিস্তানকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে দারুণ এক ফিফটি তুলে নেন। বল হাতে নেন ক্যারিয়ার সেরা ২৯ রানে ৫ উইকেট। এক ম্যাচেই তিনি গড়েছেন বেশ কিছু কীর্তি। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই ইনিংসে পাঁচ উইকেট এবং ফিফটি। বিশ্বকাপের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে এক হাজার রান এবং ৩০ উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম তারকা হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচ উইকেট। এছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি।
সাকিব তাই এখন পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার এ নিয়ে তর্ক নেই। বরং প্রশ্ন আছে তিনি সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার কি-না। কিংবা ক্যারিয়ার জুড়ে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে যাওয়া সাকিব সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় ঢুকতে পেরেছেন কি-না। কপিল দেব, ইমরান খান, রিচার্ড হ্যাডলি, শন পোলক, জ্যাক ক্যালিস কিংবা গ্যারি সোর্বাসদের তালিকায় উঠেছেন কি-না। পরিসংখ্যান সাকিবের পক্ষে কথা বলে। সাকিবের পক্ষে কথা বললেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান মাইক হাসিও। তার মতে, অবশ্যই সাকিব আল হাসান সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন।
ইএসপিএনের ম্যাচ পরবর্তী আলাপে মাইক হাসি-মুরালি কার্তিকরা একথা বলেন। হাসি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান এখন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকায় চলে এসেছেন। এই বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘কেউ অস্বীকার বা দ্বিমত পোষণ করতে পারবে না যে, এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার সাকিবই।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে সাকিব দ্রুততম পাঁচ হাজার রান এবং ২৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। সেটা ভেঙে আবার ছয় হাজার রান এবং ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন। এক বিশ্বকাপে ৪০০ রান ও ১০ উইকেট নেয়া একমাত্র ক্রিকেটার এখন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার। কোন একক ফরম্যাটে নয়। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই একই সঙ্গে সেরা হওয়ার কীর্তি অর্জন করেছেন তিনি। অলরাউন্ডার র্যাংকিং উঠা নামা করলেও সেরাদের তালিকা থেকে তিনি ছিটকে পড়েননি কখনও।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মুরলি কার্তিক তাই ইএসপিএনের ওই আলাপে বলেন, ‘সাকিব শুধু এই বিশ্বকাপ বিবেচনায় সেরাদের তালিকায় তা নয়, সাকিব বরাবরই অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক বা দুই নম্বরে আছেন। তিন ফরম্যাটেই এভাবে এক-দুইয়ে জায়গা ধরে রাখা কঠিন, ক্যারিয়ার শেষে সাকিব তাই সেরা অলরাউন্ডারদের তালিকাতেই থাকবেন এটা নিশ্চিত।’