গ্যাসের দাম গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশের বেশি বাড়লেও তা জনগণের জন্য সহনীয় মাত্রায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূত হু ক্যাং-ইলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় আবাসিক গ্রাহকদের উপর চাপ বাড়বে। কিন্তু এর জন্য যে ভর্তুকি দেওয়া হয় তা বাকি ১৩ কোটি মানুষকে বহন করতে হয়।
তিনি বলেন, কত সাবসিডি দিয়ে আমরা এই সেক্টর চালাব?… এ জায়গায় সরকারকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে। তারপরও এমনভাবে (দাম) বাড়ানো হয়েছে যাতে (মানুষ) সহ্য করতে পারে। গ্যাসে যে পরিমাণ খরচ হয় তা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।
সমাজের বিভিন্ন অংশের আপত্তির মধ্যেই সব পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ৩২.৮ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার, যা কার্যকর হয়েছে জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকেই। এতে আবাসিক গ্রাহকদের এক চুলার জন্য মাসে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৭৫ টাকা দিতে হবে, যা এতোদিন ছিল যথাক্রমে ৭৫০ টাকা ও ৮০০ টাকা।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিতা ব্যাখ্যা করে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের সোর্স থেকে গ্যাস শেষ হয়ে আসছে। আপনারা যদি ক্যালকুলেশন করে দেখেন বিদেশ থেকে আমদানি করে কত কস্ট পড়ছে, সেই পরিমাণ কস্ট কিন্তু সরকার চাপিয়ে দেয়নি।
দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৩ জুলাই কোরীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোরীয় প্রধানমন্ত্রী দুই রাত বাংলাদেশে থাকবেন এবং সফর সঙ্গী সব মিলে ১৫০ জনের মত। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৪ জুলাই বৈঠক হবে।