কোম্পানির নামের ছাড়পত্র মিলবে ৭ দিনে

বিশেষ প্রতিবেদক

কোম্পানির নামের ছাড়পত্র মিলবে ৭ দিনে
ফাইল ছবি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেসব বাণিজ্যিক সংগঠন কিংবা কোম্পানির অনুমোদন দেয় সেসব প্রতিষ্ঠানের নামের ছাড়পত্র ৭ দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে।

সূত্র মতে, আগে এটি পেতে সময় লাগতো প্রায় ছয় মাস। নামের ছাড়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি অনলাইনে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ ধরনের একটি ইনোভেটিভ ধারণার উদ্ভাবক হচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দা নাহিদা হাবিবা। তিনি মত ও পথকে বলেন, বাণিজ্যিক সংগঠন কিংবা কোম্পানি গঠনের জন্য লাইসেন্স গ্রহণের আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নামের ছাড়পত্র নিতে হয়। বিদ্যমান পদ্ধতি ম্যানুয়াল হওয়ায় ছাড়পত্র নিতে অনেক সমস্যা হয়। নামের ছাড়পত্রের জন্য গ্রহীতাকে প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হয়।

তিনি বলেন, এরপর সেটি পূরণ করে রেজিস্টর অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) জমা দিতে হয়। আরজেএসসি তাদের কাজ করে সে ফরমটি আবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তারপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েক হাত ঘুরে সেটি চূড়ান্ত হয়। এরপর গ্রহীতা সেটি হাতে পায়।

নাহিদা হাবিবা বলেন, এতে বর্তমান পদ্ধতিতে নামের ছাড়পত্র পেতেই চার-ছয় মাস সময় লেগে যায়। সব মিলিয়ে একটি নামের ছাড়পত্র পেতে গ্রাহককে গুণতে হয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা। কোনো কারণে ফরম হারিয়ে গেলে গ্রাহকের দুর্ভোগ আরও বাড়ে। তবে ছাড়পত্রের প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হলে গ্রাহককে এ টাকাও দিতে হবে না। এমনকি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বসেই নামের ছাত্রপত্র পাওয়া যাবে। সময় লাগবে মাত্র সাতদিন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, পদ্ধতিগুলো ম্যানুয়াল হওয়ায় এতে দুর্নীতির একটা সুযোগ থাকে। তবে কাজটি যদি পুরোপুরি অনলাইনে করা যায় তাহলে সবকিছু খুব সহজে সম্ভব হবে।

নাহিদা হাবিবা বলেন, নামের ছাড়পত্র কাজটি অনলাইনে করার জন্য একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করতে হবে। এ সফটওয়্যারে দেশের সব কোম্পনি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের ডাটাবেজ থাকবে।

সম্প্রতি এ ধরনের একটি সফটওয়্যার স্থাপনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। এটি বাস্তবায়নে শিগগিরই কাজ শুরু করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসা সূচক বা ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্সে ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৭। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে এ সূচকে দেশের অবস্থান দুই অঙ্কে বা কমপক্ষে ৯৯তম অবস্থানে আনার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে এটি একটি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে