সিডনির হলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রূপন্তি আকিদের সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক

একটি হিন্দু পরিবারের গল্প। রিতু নামের এক মেয়ে মারা যায়। এরপর অন্তেষ্টিক্রিয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শোক প্রকাশের শেষ দিনকে কেন্দ্র করে পুরো গল্পটা আবর্তিত হয়েছে। এই গল্পকে পর্দায় এনেছেন অস্ট্রেলিয়ান নির্মাতা বৈভব ভাট। আর এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রূপন্তি আকিদ। ছবির নাম ‘তেরাহবিন’। বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া থেকে নিশ্চিত করেছেন রূপন্তি নিজেই।

এক দুঃখী মেয়ে রূপন্তি। চরিত্রের নাম জেসি। জেসির বোন রিতু মারা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই সে দুঃখী। একটি শোকাহত পরিবারে ঘর ভর্তি মানুষ। এখানে সেখানে মানুষ জন। কিন্তু কারো চোখেমুখে শোক নেই। শোকের বদলে চেহারার ভাঁজে ঘুরে বেড়ায় নানা উদ্দেশ্য। অথচ ঘরভর্তি শোক থাকার কথা ছিল। রিতুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়া জেসি শোকগ্রস্থের মধ্যেও বিস্মিত হয়। এতো মানুষ এসেছে রিতুর অন্তেষ্টিক্রিয়ায় কিন্তু তারা এমন কেন? রিতুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী কার্মা শ্যারন। সেদেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়।

এছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জ্যাসপার মুসগ্রেভ, নিলেন্দ্র ফোনসেকাসহ প্রায় ৩০ জন অভিনেতা-অভিনেত্রী ছবিতে কাজ করেছেন। ছবিটি মুক্তি পেয়েছি সিডনিকেন্দ্রিক সিনেমা হলগুলোতে। এটি একটি বিদ্রপাত্মক, একইসাথে হাস্যরসাত্মক ছবি।

রূপন্তি বলেন, আসলে এই প্রথম বড় প্ল্যাটফরমে কাজ করলাম, অনুভূতির কথা বলতে গেলে এক ধরনের মিশ্র অনুভূতির কাজ করেছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্রের কাজ শেষ হয়েছে, গত ২১ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে। যখন প্রেক্ষাগৃহের বড় পর্দায় নিজের নাম দেখেছি, অদ্ভুত শিহরণ খেলে গেছে মনে।

এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন রূপন্তি—মাহফুজ আহমেদের ‘হ্যালো বাংলাদেশ’ ও ‘কেবলই রাত হয়ে যায়’, সকাল আহমেদের ‘তাহার নাম শকুন্তলা’, সাগর জাহানের ‘আংটি’।

বাংলাদেশ কিছু দল অস্ট্রেলিয়ায় যায় এক সাথে অনেক গুলো নাটক করার প্যাকেজ নিয়ে। এমনই বিভিন্ন পরিচালকের পাঁচটি নাটকে অভিনয় করেছেন—‘ঘুমিয়ে পড়েছে মধ্যরাত’, ‘গল্পটি আংশিক সত্য’, ‘অথবা একটা খুনের গল্প’, ‘শারমিনের ব্যক্তিগত গল্প’, ‘কোন আলো লাগল চোখে’। বাংলাদেশ থেকে নাটকের টিম গিয়ে অস্ট্রেলিয়াতেই এগুলোর শুটিং করে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে