মাত্র ১০ দিন আগে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়।
প্রথমবার বিশ্বকাপ জয়ের পর ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষ আইরিশদের বিপক্ষে খেলতে নেমে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
আইরিশ পেসার টিম মুরতাগ ও মার্ক অ্যাদারের গতির মুখে পড়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারান জেসন রয়, জো ডেনলি, জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, ক্রিস ওকস, মঈন আলী, স্টুয়ার্ড ব্রড, সেম কারান ও অলি স্টনরা।
আজ বুধবার ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী লর্ডস স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সময়ের ব্যবধানে উইকেট পতনের কারণে ২৩.৪ ওভারে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট হয় জো রুটের নেতৃত্বাধীন দলটি।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ৮ রানে ফেরেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। বিশ্বকাপে অসাধারণ ব্যাটিং করে যাওয়া এ ওপেনার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে মাত্র ৫ রানে টিম মুরতাগের শিকার হন। এরপর ২৮ রানের ব্যবধানে ফেরেন জো ডেনলি ও রয় বার্নস।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করতে গিয়ে বিপদে পড়ে যান জো ডেনলি। ২৮ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৩ রান করতেই মার্ক অ্যাদারের গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ডেনলি।
ব্যাটিং বিপর্যয়ে দিনে উইকেট ধরে খেলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন জো বার্নস। ২৫ বলে মাত্র ৬ রান করতেই টিম মুরতাগের গতির শিকার হন তিনি।
এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে নেই জো রুট, জনি বেয়ারস্টো, ক্রিস ওকস ও মঈন আলীর উইকেট।
উইকেটে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মার্ক অ্যাদারের ফাস্ট বলে এলবিডব্লিউ ইংলিশ অধিনায়ক জো রুট। ৭ বলে মাত্র ২ রানে ফেরেন তিনি।
৬ বল খেলে রানের খাতা খুলার আগেই মরগাতের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বিশ্বকাপে ওপেনিং পজিশনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া জনি বেয়ারস্টো।
দলীয় ৪২ রানে বিশেষজ্ঞ ৬ ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমে উইকেটে থিতু হতে পারেনকি পেস বোলার ক্রিস ওকস। তিনি মাত্র দুই বল খেলে টিম মুরগাতের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। ৭ বলে শূন্য রানে ফেরেন ইংল্যান্ডের মুসলিম অলরাউন্ডার মঈন আলী।
ব্যাটসম্যানদের এমন করুণ পরিণতি দেখে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে ওয়ানডের স্টাইলে ব্যাটিং করেন সেম কারান ও অলি স্টইনি। ১৬ বলে দুটি বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে বয় রেনকিনের গতির শিকার হন কারান। ১৮ বলে চারটি চারের সাহায্যে ১৯ রান করে মার্ক অ্যাদারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অলি স্টইনি। তাদের দুজনের কল্যাণে ৪৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়া ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৮৫ রান তুলতে সক্ষম হয়।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৯ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন টিম মুরগাত। ৭.৪ ওভারে ৩২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন মার্ক অ্যাদার। ৩ ওভারে ৫ রানে ২ উইকেট শিকার করেন রেনকিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ২৩.৪ ওভারে ৮৫/১০ (জো ডেনলি ২৩, অলি স্টইনি ১৯, সেম কারান ১৮, রয় বার্ন ৬, জেসন রয় ৫, স্টুয়ার্ড ব্রড ৩, জো রুট ২, জ্যাক লিস ১*, জনি বেয়ারস্টো ০, মঈন আলী ০, ক্রিস ওকস ০; টিম মুরতাগ ৫/১৩, মার্ক অ্যাদার ৩/৩২, রেনকিন ২/৫)।