জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ঘটা করে উদ্যাপন করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) বসে নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজন করবে বিসিবি।
মিরপুরের মাঠে ক্রিকেট বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশে ভাগ হয়ে খেলবে।
‘মুজিব বর্ষ’ এর ১৮ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে ম্যাচ দুটি আয়োজন করবে বিসিবি। দুটি ম্যাচই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা পাবে। গত সপ্তাহের আইসিসি বৈঠকে এই দুটি ম্যাচকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাধারণত এ ধরনের ম্যাচকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেওয়া হয় না। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলো না খেললে আন্তর্জাতিক মর্যাদা দেওয়া হয় না। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু। বাংলাদেশের পক্ষে আইসিসির প্রত্যেকটা বোর্ড মেম্বারের এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া, এটা বিরাট পাওয়া।’
এ দুই ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের একত্র করতে চায় বিসিবি। তাই সময় সূচিও নির্ধারণ করা হয়েছে আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর পরিকল্পনা অনুযায়ী। বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘আমাদের ধারণা অনুযায়ী দুই দল ছাড়া সব দলকে পাব। ওই দুই দেশ আবার টি-টোয়েন্টি খেলছে না, কাজেই তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটাররা খেলতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা সাবেক নামিদামি ক্রিকেটারদের দিকে যাচ্ছি না। বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে করতে চাচ্ছি। সত্যিকারের অর্থে আমরা একটা উপভোগ্য সিরিজ হবে আশা করি। আর আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়াতে প্রত্যেকেই সিরিয়াস হবে।’
যেহেতু ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে সিরিজটা আয়োজন করা হচ্ছে, ‘এশিয়া’ না হয়ে বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল খেলতে পারত কিনা, এ প্রশ্নে নাজমুল বললেন, ‘(ফুটবলে) বাংলাদেশ কি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সঙ্গে খেলবে? আমরা বিশ্বের সেরা সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছি। বাংলাদেশ বনাম অন্য কোনো দলের খেলা তো সারা বছরই আয়োজন করতে পারি। সেটি হলে শুধু দুটো দেশের দর্শকেরা দেখবে। যদি বিশ্বের সেরা সেরা খেলোয়াড়েরা আসে তাহলে সব ক্রিকেটপ্রেমী এই ম্যাচের দিকে চোখ রাখবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে এটাই আমাদের কাছে সেরা উপায় মনে হয়েছে।’
শুধু এই সিরিজ নয়, সারা দেশে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে বিসিবি।