বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। এ দুই অঞ্চলের অন্তত ১০টি রুট ঝুঁকিপূর্ণ। এরমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে ৫টি রুটে। দ্রুত লাইন মেরামতের উদ্যোগ নিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগগুলো থেকে রেল ভবনে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত এসব লাইন মেরামত করা না হলে এবারের ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বলছে, যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এরইমধ্যে লাইন মেরামতসহ সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা- বোনারপাড়া সেকশনের প্রায় ৭ কিলোমিটার রেল লাইনের নীচের মাটি সরে ঝুলন্ত সেতুতে পরিণত হয়েছে এবার বন্যায়। এ অঞ্চলের তিস্তা- রমনা বাজার রুটসহ বন্যার পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে আরও ২৭ কিলোমিটার রেল লাইন। আর ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে দুইটি রুটে।
বন্যার পানিতে শুধু পশ্চিমাঞ্চল রেলেই ঝুঁকিতে পড়েছে ৫টি রুট। বন্ধ হয়ে গেছে দুই রুটের ১৬ কিলোমিটার রেল লাইনে ট্রেন চলাচল। শুধু তাই নয় নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছে আরও ৫টি রেলসেতু।
রেলভবনকে এসব তথ্য জানিয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠিয়েছে রেলের লালমনিরহাট বিভাগ।
আর পূর্বাঞ্চলে জামালপুর- দেওয়ানগঞ্জ বাজার, তারাকান্দি- সরিষাবাড়ি এই দুই সেকশন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ট্রেন চলাচল। মাটি, পাথর সরে কিংবা স্লিপার পচে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে আরও ৫টি রুট। ঝুঁকির মুখে পড়েছে ৫-৭টি রেলসেতু।
- আরও পড়ুন >> ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শুরু
এমন অবস্থায় যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত লাইন সংস্কারে উদ্যোগী না হলে এবারের ঈদ যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। তবে রেলওয়ে বলছে, বন্যার পানি সরে গেলেই মেরামতের কাজ শুরু হবে।
রেলওয়ে কর্মকর্তা ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, বন্যার পানি সরে গেলে এই পথে বড়সড় সংস্কার কাজ করা হবে। খেয়াল রাখতে হবে ট্রেন লাইনের নিচের মাটি ও পাথর ঠিকঠাক আছে কিনা।
পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত ঠিক হবে না জানিয়ে টেকসই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞের, তা বিবেচনার কথা জানিয়েছে রেলওয়ে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, প্রয়োজনীয় সকল ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করার পর আমাদের রেললাইন সংস্কারের কাজ হাতে নিতে হবে।
আগামী ১২ আগস্ট ঈদ-উল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ধরে ৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে এবারের ঈদযাত্রা।