অনেকেই দু’জনের মধ্যে খুঁজে পান বহু মিল; তাদের কট্টর জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি, আলটপকা মন্তব্য করার অভ্যাস, এমনকি চুলের ধরনেও রয়েছে অনেক মিল। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে অসীন হয়ে বরিস জনসন যে স্লোগান তুললেন, তাতে থাকল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুবুহু প্রতিধ্বনি।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেওয়া প্রথম ভাষণে বরিস জনসন বলেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যেকে আবার শ্রেষ্ঠত্বের আসনে ফিরিয়ে আনবেন তিনি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রবেশের আগেও প্রায় একই কথা বলেন জনসন।
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকর করাই হবে আমাদের লক্ষ্য, যাতে আমাদের মহান যুক্তরাজ্যকে আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, আবারও শক্তিশালী করে তুলতে পারি এবং এই দেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্থানে পরিণত করতে পারি।
বিশ্বকে চমকে দিয়ে ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগান নিয়ে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্য যখন ব্রেক্সিট নিয়ে খাবি খাচ্ছে, এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে এলে তা হবে ‘অসাধারণ’।
২০১৬ সালের ঐতিহাসিক গণভোটে যুক্তরাজ্যের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দিলে পদত্যাগ করেন কনজারভেটিভ সরকারের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ডেডিভ ক্যামেরন, যিনি ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন।
ক্যামেরনের পর ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ভার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন টেরিজা মে। কিন্তু সেজন্য যে পরিকল্পনা তিনি সাজিয়েছিলেন তা পার্লামেন্টে পাস করাতে না পারায় তাকেও সরে যেতে হয়।
এরপর কনজারভেটিভ পার্টি বরিস জনসনের হাতে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দিলে গত ২৩ জুলাই তাকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেন, ‘হি উইল বি গ্রেট।’