২৭ জুলাই (শনিবার) সবশেষ বোর্ডসভায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে বিসিবি। আগামী ৩ ডিসেম্বর জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের সপ্তম আসর।
একইদিন টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কথাও জানিয়েছিল বোর্ড। যা দেয়া হয়েছে ২৯ জুলাই (সোমবার)। এ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএলের দল নিতে তথা ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনতে আগ্রহীদের জন্য নীতিমালা জানিয়েছে বিসিবি।
তবে অংশগ্রহণকারী সব দলের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজছে না বিসিবি। আগামী চার মৌসুমের (সপ্তম আসর থেকে দশম আসর পর্যন্ত) জন্য দুইটি আঞ্চলিক দলের ফ্র্যাঞ্চাইজির খোঁজে দেয়া হয়েছে এ বিজ্ঞপ্তি।
তবে কোন দুই দল। তা উল্লেখ করে দেয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে টুর্নামেন্টের ফরম্যাট, শিডিউল ও সম্ভাব্য ভেন্যুসহ আগ্রহীদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়েছে বিসিবি।
আগামী ২০ আগস্ট তারিখের মধ্যে বিসিবি ম্যানেজম্যান্ট অফিসের ঠিকানায়, সিলগালা এনলভেলপে সুলিখিত আগ্রহপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যা লিখতে হবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বরাবর।
সে আগ্রহপত্রের সঙ্গে ব্যাংক স্ট্যাটমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানির সচ্ছলতা, হালনাগাদকৃত ট্রেড লাইসেন্সের কপি, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স পরিশোধের নম্বর, কোম্পানি এবং মালিকের বৃত্তান্ত, কোম্পানির যেকোনো একটি স্মারক, যৌথ মালিকানাধীন কোম্পানির ক্ষেত্রে সব অংশীদারের সম্মতি এবং হালনাগাদকৃত অডিট রিপোর্ট সংযুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে।
তবে তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক, অ্যালকোহল কোম্পানি, জুয়ার সঙ্গে জড়িত কোম্পানি এবং বিসিবির সঙ্গে আর্থিক কোনো দ্বন্দ্ব থাকলে আগ্রহপত্র জমা দেয়া যাবে না।
আগ্রহপত্র জমা দেয়ার পর বিসিবির পক্ষ থেকে প্রাথমিক যাচাই বাছাই করা হবে। তারপর যোগ্য কোম্পানিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা। সে তালিকা মোতাবেন সব কোম্পানিকে সিকিউরিটি ডিপোসিট এবং ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা দিতে হবে।
পরে চূড়ান্ত যাচাই বাছাই শেষে, যাদের বাদ দেয়া হবে তাদের সিকিউরিটি ডিপোসিট এবং ব্যাংক গ্যারান্টির অর্থ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দেয়া হবে। দুইটি কোম্পানির সঙ্গে করা হবে চার আসরের জন্য চুক্তি। যা পরে সমঝোতার ভিত্তিতে আরও বাড়ানোর সুযোগ রাখা হবে।