নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আবারও গৃহবধূকে (২৫) গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চর মোজাম্মেল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- চর মোজাম্মেল গ্রামের মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে নুরুল হুদা (৫৮), একই গ্রামের রবিউল হোসেনের ছেলে নুর উদ্দিন (৪২) ও রুহুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৩)।
গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূর পরিবার জানায়, শনিবার গভীর রাতে নুর উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন ও নুরুল হুদা গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
রোববার সকালে গুরুতর অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে রোববার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, রোববার সকালে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুপুরে তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেডিকেল প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর গণধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর সুবর্ণচরের চরজুবলীতে এক গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এরপর ওইদিন রাত ১২টার দিকে তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বামী ও স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে (১২) বেঁধে রেখে টেনে-হিঁচড়ে ঘরের বাইরে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
একপর্যায়ে তারা তাকে গলা কেটে হত্যার করতে উদ্যত হয়। এ সময় প্রাণভিক্ষা চাইলে তারা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় বাড়ির উঠানসংলগ্ন পুকুর ঘাটে ফেলে চলে যায়। ১৭ দিন চিকিৎসার পর বাড়ি যান ওই গৃহবধূ। এ মামলাটি আদালতে চলমান।