‘সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ’- সংবিধানে এ বিষয়টি সংযোজন করে স্বাক্ষর করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার এই আদেশ অমান্য করা মানে তাকেই অপমান করা। তার দেওয়া এই সাংবিধানিক আদেশকে ষোলোআনা অমান্য করে তাকে অপমান করা হচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী স্মরণে উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গণফোরামের সভাপতি সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এ সভার আয়োজন করে।
ড. কামাল আরও বলেন, আজ জনগণ ক্ষমতার মালিক হলে দেশে কোনো অরাজকতা থাকত না। এদেশকে যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা হতো তাহলে পত্রপত্রিকা খুলে প্রতিদিন খুন, ধর্ষণ, রাহাজানির খবর পড়তে হতো না।
তিনি বলেন, জনগণকে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে হলে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সব ধরনের লোভ-লালসা, ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে ঐক্যের রাজনীতি করতে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে তার কথা সব সময় স্মরণে রাখতে হবে। তিনি কী বলেছিলেন, তার দিকে নজর রাখতে হবে।
আবদুর রব বলেন, বঙ্গবন্ধু জনমানুষের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়ে রাজনীতি করবেন না। দয়া করে তাদের আপনি বিদায় করুন, এরপর রাজনীতি করুন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়। এরপর সদ্য প্রয়াত রাজনীতিবিদ মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী এবং কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা জাতীয় মুক্তি বাহিনীর নিহত সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী।