আসাম সরকার গত চার বছর ধরে যাচাই-বাছাইয়ের পর নাগরিক তালিকা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
খবরে প্রকাশ, স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টায় অনলাইনে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, তালিকা থেকে ৪১ লাখের বেশি আবেদনকারীর নাম বাদ পড়তে পারে। ভবিষ্যতে তাদের অবস্থান কী হবে এই নিয়ে উত্তেজিত আসামবাসী।
রাজ্যের গৃহমন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানান, যাদের নাম বাদ পড়বে তারা এখনই বিদেশি বলে গণ্য হবেন না। তারা আপিল করার জন্য ৬০ থেকে ১২০ দিন সময় পাবেন। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বন্দীশিবিরে নেওয়া হবে না।
রাজ্যের গৃহমন্ত্রণালয় জানায়, আপিল আবেদনের শুনানির জন্য রাজ্যে অন্তত এক হাজার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। ট্রাইব্যুনালে হেরে গেলে যে কেউ হাইকোর্ট এবং সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন।
এদিকে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের সময় যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ২০ হাজার বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে আসামে। একসঙ্গে চারজন মানুষের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আসাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কোনো গুজব না ছড়ানোর। এতে ক্ষতি হবে রাজ্য এবং রাজ্যবাসীর।
বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ অবৈধভাবে আসামে বসবাস করছে- এই দাবি তুলে আসামে ‘বাঙ্গালি খেদাও’ আন্দোলন শুরু হয়। অবৈধ বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে চার বছর আগে নাগরিকপঞ্জি তৈরির কাজ শুরু করে আসাম সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, নগরিকপঞ্জিতে নাম থাকতে হলে বাসিন্দাদের প্রমাণ করতে হবে তারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে আসামে বসবাস করে আসছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালিকা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে বিশেষ করে মুসলমানদের নাগরিকত্ব হারিয়ে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে তালিকা থেকে হিন্দু নাগরিকের নাম বাদ পড়ার আশঙ্কা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা।