আসামে নাগরিক নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকায় (এনআরসি) নাম ওঠেনি ভারতের সাবেক ও পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের। তারা এখন ‘রাষ্ট্রহীন’।
২০১৮ সালে এনআরসির দ্বিতীয় খসড়া তালিকায় ফখরুদ্দিন আলী আহমেদের পরিবারের সদস্যদের নাম না থাকায় বিতর্ক হয়েছিল। এনআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণের উপযুক্ত নথিপত্র জমা দিতে বলেছিল। ফখরুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা তা জমাও দিয়েছিলেন।
তাদের দাবি, নথিপত্র জমা দেওয়াতে তাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। এর পরও চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় তাদের নাম নেই। এর ফলে শনিবার থেকে তারা রাষ্ট্রহীন। আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘প্রান্তজ্যোতি’র খবরে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
- আরও পড়ুন, ইসরাইলে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকাশিত দ্বিতীয় খসড়া তালিকায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিনের প্রয়াত ভাই একরামুদ্দিন আলী ও ভাইপো জিয়াউদ্দিনের নাম ছিল না। যদিও তালিকায় ছিল ফখরুদ্দিনের ছেলে পারভেজ ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম। বাদপড়াদের নাম তালিকাভুক্ত করতে এনআরসির পক্ষ থেকে বংশের সদস্যদের নাম চাওয়া হয়। সে অনুযায়ী তা দাখিল করেন তারা। আশা ছিল, নাগরিকত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় পাস করে যাবেন। তবে চূড়ান্ত তালিকায়ও বাদ পড়েছেন তারা।
আসামের কামরূপের রঙ্গিয়ায় ফখরুদ্দিনের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। সাদামাটা গ্রামীণ জীবন তাদের। নাগরিকত্ব প্রমাণ নিয়ে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছিল না তাদের। তবে এনআরসি তালিকা তৈরির জটিল ও দীর্ঘ কর্মযজ্ঞশেষে শনিবারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হলে তাদের সব উদ্যোগ ব্যর্থ বলে প্রতীয়মান হলো। এবার ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে সাবেক এ রাষ্ট্রপতির পরিবারকে ঘোচাতে হবে ‘বিদেশি বা রাষ্ট্রহীন’ নাগরিকের অপবাদ। রাজনীতিতে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালন অবস্থায় প্রয়াত হওয়ায় ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি তিনি। গুরজার জাতিগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে তিনি ছাড়া আর কেউ রাষ্ট্রপতি হননি।