সরকার রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে এবার শরণার্থী শিবির এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শরণার্থী শিবির এলাকায় বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা থ্রি-জি এবং ফোর-জি সেবা বন্ধ রাখতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য কেবল এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে ওই সময়ে টু-জি সেবা চালু থাকায় ভয়েস কল করা গেলেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সব ধরনের মোবাইল সেবা পাবেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায়, তা সাত দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব মোবাইল অপারেটরকে ‘জরুরি’ নির্দেশনা দেওয়ার একদিন পরই টেলিযোগাযোগ সেবা সীমিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা অপারেটরদের পাঠানো হয়েছে এবং তারা তা কার্যকর করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
আগের দিন পাঠানো নির্দেশনায় রোহিঙ্গারা যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা না পায়, তা সাত দিনের মধ্যে নিশ্চিত করতে সব মোবাইল অপারেটরকে বলা হয়।
- আসামিদের চিৎকার : এমপিপুত্র সুনামের নাম কেন নাই চার্জশিটে?
- খুন হওয়ার ৫ বছর পর ফিরে আসা সেই কিশোর কারাগারে
তার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের কর্মকর্তারা বলেন, তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে বায়োমেট্রিক নিশ্চিতকরণের পরেই কেবল মোবাইল সিম সক্রিয় করে থাকেন। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারে কোনো রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে তাদের করার কিছু নেই।