প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ, মতপার্থক্যের সুযোগে তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন জাভেদ জারিফ।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসব কথা জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য দরকার। আমাদের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ, মতপার্থক্যের সুযোগে তৃতীয় পক্ষ সুবিধা নিচ্ছে। মুসলিমরা নিজেদের রক্ত ঝরাচ্ছে, অন্যরা তার সুবিধা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য চাই। যদি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থেকেও থাকে, সেগুলো দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। এ জন্য রক্তক্ষরণের দরকার নেই।
ভাতৃঘাতী সংঘাত নিরসনে ওআইসিকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
- ভারতে পটকা কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২২, আহত ২৭
- কূটনীতিকদের ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বিভ্রান্ত করতে পারবেন না : কৃষিমন্ত্রী
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইরানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাভাষায় প্রচুর ফারসি শব্দের ব্যবহারের কথাও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান তিনি।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তিনি দু’জন শিয়া মেয়েকে দত্তক নিয়েছেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরান-বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও বেশ প্রশংসনীয়।
সাক্ষাতে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের পর দেশটির বর্তমান অবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।