আসামিপক্ষের আইনজীবী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সাক্ষী নুসরাতের দুই বান্ধবীকে ফের আদালতে তলব করে সাক্ষ্য নেওয়ার পিটিশন দাখিল করেছেন। একই সময় পিবিআই প্রধানের তলব করার আদেশ প্রার্থনা করা হয়। এ নিয়ে বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা চলে কিছুক্ষণ।
আজ বুধবার বিকেলে ষষ্ঠ দিনের জেরা শেষে বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তার অসমাপ্ত জেরা গ্রহণের আদেশ দিয়ে আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
সকালে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নুসরাত হত্যার ১৬ আসামিকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ আসামিদের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলমকে জেরা শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ মামলার দুই সাক্ষী নুসরাতের বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফুর্তির পুনঃসাক্ষ্যের আবেদন করেন। একইসঙ্গে পিবিআই প্রধানের তলব করার আবেদন মঞ্জুর করারও আদেশ চান।
এ সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু চিৎকার করে বলেন, প্রতিদিন কেবল বিভিন্ন বিষয়ে পিটিশন দেওয়া হচ্ছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বলতে থাকেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে সাক্ষীর রিকল (পুনঃসাক্ষ্য) ও পিবিআই প্রধানকে আদালতে উপস্থিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কিছুক্ষণ এই বিতণ্ডা চলার পর বিচারক সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষ নুসরাত হত্যা মামলার বিচার কী হয়, দেখার জন্য তাকিয়ে আছে। ন্যায়বিচারের জন্য তিনি প্রয়োজনে যে কোনো ব্যক্তিকে ডেকে আনবেন। প্রয়োজন হলে আরও পাঁচশ’ দিন শুনানি করবেন।
একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম অসুস্থ বোধ করছেন জানালে বিচারক এদিন সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন।