জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অনেক নাটকীয়তার পর দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবর জিএম কাদেরের পরিবর্তে ভাবি রওশন এরশাদকে ওই পদ দেয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যায় স্পিকারের কাছে চিঠি দেয়া হয়। আর জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় উপনেতা করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করা হয়।
আজ সোমবার সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত সংসদীয় দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদকে (ময়মনসিংহ-৪) জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি (২) (১) (ট) অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও এক উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ মোতাবেক লালমনিরহাট-৩ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে উপনেতা হিসেবে স্পিকার স্বীকৃতি দিলেন।
এর আগে দুজনকেই সংসদের বিরোধী দলের নেতা করার জন্য পাল্টাপাল্টি চিঠি দেয়া হয়েছিল। রওশন এরশাদের পক্ষ থেকে দলটির সাবেক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ও ফখরুল ইমামসহ কয়েকজন রওশনকে চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে মনোনীত করার জন্য স্পিকার বরাবর চিঠি দেন। এমনকি চেয়ারম্যান হিসেবে রওশনের নাম দিয়ে নির্বাচন কমিশনেও চিঠি পাঠান তারা।
অন্যদিকে, কাজী ফিরোজ রশীদ,আবু হোসেন বাবলাসহ প্রায় ১৪-১৫ এমপি জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করার তৎপরতায় উঠেপড়ে লাগেন।
এর আগে শনিবার সংকট নিরসনে উভয় পক্ষের আটনেতা সমঝোতা বৈঠকে মিলিত হন। তিনটি এজেন্ডা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তা হলো, জাপার নেতৃত্ব, রংপুর নির্বাচনে প্রার্থী ও বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন।
শনিবার রাতে দলটির মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা আন্তঃকোন্দল মিটিয়ে ফেলতে সমর্থ হন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবেন প্রয়াত এরশাদের ভাই জি এম কাদের এবং বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করবেন এরশাদপত্নী রওশন এরশাদ।
সব মিলিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির বর্তমানে ২৫ জন এমপি আছেন। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনটিতে বিজয়ী হলে তাদের সদস্য সংখ্যা ২৬ হবে।
প্রসঙ্গত, সংসদের বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রী ও উপনেতা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেয়ে থাকেন।